হাত পায়ের ত্বক ফেটে যাচ্ছে?
ত্বক দিন দিন খসখসে, নিষ্প্রাণ হয়ে যাচ্ছে?
ত্বকের এই সমস্ত সমস্যার চিন্তায় জর্জরিত থাকি আমরা কম-বেশি সবাই। বিশেষ করে, শীতকালে এই সমস্যা দেখা দেয় সবচেয়ে বেশি। কিন্তু যাদের অতিরিক্ত ড্রাই স্কিন তারা মোটামুটি ১২ মাসই এই ধরনের সমস্যায় ভুগতে থাকে।
অনেক সময় দেখা যায় যতই লোশন বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা হোক না কেনো দিনশেষে স্কিনে খসখসে বা আনকমফোর্টেবল লাগা ভাবটি থেকেই যায়।
কিন্তু ভয়ের কিছুই নেই। অনেক অনেক উপায় আছে যার মাধ্যমে আমরা আমাদের এক্সট্রিমলি ড্রাই স্কিনকে আবার পুনরুজ্জীবিত করতে পারি এবং স্কিনকে করে তুলতে পারি আবারো সফট এবং স্মুদ।
কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললেই বা কিছু সঠিক নিয়মে স্কিন কেয়ার করলেই আমরা এই সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারি নিমিষেই। আজকে আপনাদের বলবো রুক্ষ, নিষ্প্রাণ ত্বককে হাইড্রেটেড, সফট আর স্মুদ করে তোলার টিপস এবং ট্রিক্স।
সঠিক ক্লিনজার নির্বাচন
ড্রাই,প্যাচি স্কিনের যত্নের ক্ষেত্রে প্রথমেই যেই জিনিসটি মাথায় রাখতে হবে তা হলো এই ধরনের স্কিনের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের হতে হবে নমনীয় বা জেন্টাল।
যেহেতু স্কিন আগে থেকেই অনেক রুক্ষ আর খসখসে থাকে তাই আমাদের উচিত হবে এর ন্যাচারাল অয়েলের সাথে ব্যালেন্স বজায় রেখে এর যত্ন নেয়া এবং ক্ষার বা সাবানযুক্ত প্রডাক্ট ব্যাবহার না করা।
কারণ সাবানযুক্ত ক্লিনজার ব্যবহারে স্কিনের ন্যাচারাল অয়েল আর কমে যায় এবং স্কিন হয়ে উঠবে আরো অনেক বেশি ড্রাই। এর জন্য আমাদের সিলেক্ট করতে হবে একদম মাইল্ড কোনো ক্লিনজার যাতে ব্যালেন্সড পি.এইচ লেভেল থাকার পাশাপাশি স্কিনকে দিবে পর্যাপ্ত ময়েশ্চার।
স্কিন ড্রাই না করে জেন্টাল ভাবে করবে ভেতর থেকে ক্লিন এবং সফট। আর এজন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন Clariss Face Wash 100ML: Papaya বা Clariss Face Wash 100ML: Milk।
ক্ল্যারিসের ক্লিনজার বা ফেসওয়াশে রয়েছে ন্যাচারাল এনজাইম এবং ভিটামিন যা আপনার স্কিনের ভেতর থেকে ময়েশ্চার ধরে রেখে ক্লিন করবে আর আপনাকে দিবে ফ্রেশ লুকিং স্কিন।
এছাড়াও ব্যাবহার করতে পারেন আর্থ বিউটি এন্ড ইউ ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশগুলো।
আর্থ বিউটি এন্ড ইউ এর Earth Beauty & You Vitamin C Purifying Face Wash -এ রয়েছে বেটা হাইড্রএক্সি অ্যাসিড এবং স্যালিসাইলিক অ্যাসিড যা স্কিনের পোরসগুলোকে খুব ভালো ভাবে ক্লিন করে।
এবং এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস স্কিনের ন্যাচালার অয়েল ব্যালেন্সড রেখে স্কিনকে দেয় ইন্সট্যান্ট ময়েশ্চার এবং গ্লো। আর স্কিন ড্রাই হওয়ার পাশাপাশি যদি সেন্সিটিভও হয় তাহলে ব্যাবহার করুন Earth Beauty & You Neem Face Wash।
মাইল্ড এবং জেন্টাল এই ক্লিনজারগুলো তাই এখনি যোগ করে ফেলুন আপনার স্কিন ক্লিনজিং রুটিনে। কারন স্কিন যখন ভালোভাবে ক্লিন হয় তখন যেকোনো প্রডাক্ট ব্যাবহার করলেই খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
এক্সফোলিয়েশন
স্কিনকে খসখসে ভাব থেকে রক্ষা করতে এক্সফোলিয়েট করা খুবই জরুরি। কারন নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করলে তা স্কিনের ডেড সেলস রিমুভ করতে সাহায্য করে আর ডেড সেলসের কারনেই আমাদের স্কিন বেশি ড্রাই দেখায়।
কিন্তু এই এক্সফোলিয়েশন করতে হবে স্কিন ক্লিন করার পাশাপাশি স্কিনের ময়েশ্চার নিশ্চিত করবে এইরকম উপাদান ব্যবহার করে। আর এর জন্য পারফেক্ট এক্সফোলিয়েটর আপনি ঘরে নিজেই তৈরি করে নিতে পারেন খুব সহজেই।
শ্যুগার স্ক্রাব
এর জন্য দরকার হবে অলিভ অয়েল এবং চিনি। চিনি সামান্য একটু গুড়ো করে অলিভ অয়েলের সাথে মিশিয়ে এক্সফোলিয়েট করে নিন আপনার স্কিন। Clariss Olive Oil Pomace পেয়ে যাবেন আপনার আশেপাশের যেকোনো শপেই।
ক্ল্যারিস অলিভ অয়েলে রয়েছে ন্যাচারাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস যা স্কিনকে এক্সফোলিয়েশনের ফলে ড্রাই করবে না এবং এর ময়েশ্চার ব্যালেন্স নিশ্চিত করবে।
হানি স্ক্রাব
আবার মধু এবং কফি গুড়োর স্ক্রাবটিও স্কিনকে করবে খুব পারফেক্টলি এক্সফোলিয়েট এবং স্কিনকে দিবে গ্লো। মধুর জন্য অবশ্যই তা হতে হবে ১০০ ভাগ খাটি। আর ক্ল্যারিস আপনাকে দেয় সবচেয়ে খাটি মধুর গ্যারান্টি। তাই কিনে ফেলুন Clariss Natural Honey আর রেগুলার ব্যাবহার করুন হানি স্ক্রাবটি।
যেহেতু মধু এবং অলিভ অয়েল দুটি উপাদানেই রয়েছে অ্যাক্টিভ ময়েশ্চার লক প্রপারটিস তাই এই ধরনের স্ক্রাব গুলো দিয়ে এক্সফোলিইয়েট করলে স্কিন ড্রাই হয়ে যাওয়ার কোনো চিন্তাই থাকবেনা।
ময়েশ্চারাইজার
যেহেতু স্কিন তার হেলদিনেস হারিয়ে রুক্ষ হয়ে পরেছে তাই বুঝতেই পারছেন স্কিনের দরকার একটু বাড়তি ময়েশ্চার। ময়েশ্চারাইজার স্কিনের হারানো হাইড্রেশন ফিরিয়ে আনতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মুখে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে আলমন্ড অয়েল ব্যাবহার করলে বেশ কার্যকরী ফলাফল পাওয়া যায়। মুখের স্কিন যখন অনেক ড্রাই হয়ে যায় তখন যেকোনো ফেসিয়াল অয়েলই ম্যাজিকের মতো ফলাফল দেয়।
আলমন্ড অয়েল মুখে ব্যাবহারের জন্য খুব ভালো একটি ফেসিয়াল অয়েল। এই আলমন্ড অয়েলের সাথে সামান্য অলিভ অয়েল মিশিয়ে বডি অয়েল হিসেবেও ব্যাবহার করতে পারবেন যা বডির স্কিনের খসখসে ভাব দূর করে দিবে স্কিনের গভীর থেকে ময়েশ্চারাইজেশন। ক্ল্যারিসে পেয়ে যাবেন সবচেয়ে ভালো কোয়ালিটির Clariss Almond Oil ।
এছাড়া, বডির স্কিনের জন্য একদম বেস্ট হবে আর্থ বিউটি এন্ড ইউ ব্র্যান্ডের লোশনগুলো। আর্থ বিউটি এন্ড ইউ -এর ভিটামিন ই ময়েশ্চারাইজিং বডি মিল্কে রয়েছে ন্যাচারাল এক্সট্রাক্টসের পাশাপাশি ভিটামিন ই এর উপকারিতা এবং অ্যালগি এক্সট্রাক্ট, যা রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ স্কিনকে রিপেয়ার করার মাধ্যমে দেয় অ্যান্টি-এজিংয়ের গুণ যার ফলে অতিরিক্ত ড্রাইনেসের ফলেও আপনার স্কিন প্রি-ম্যাচিওর এজিং থেকে সুরক্ষা পায়।
শরীর সুস্থ তো ত্বক ও সুস্থ!
স্কিনকে তার হারানো ময়েশ্চার ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে অয়েল বা লোশন। কিন্তু সেই ময়েশ্চার ধরে রাখতে দরকার হয় ভেতর থেকে হাইড্রেশন। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান না করলে স্কিন আস্তে আস্তে খসখসে হয়ে যায়।
এছাড়াও একটা ব্যালেন্সড ডায়েট সবারই মেনে চলা উচিত স্কিনকে ভালো রাখতে। স্কিনে কখনোই গরম পানি ব্যাবহার করা উচিত না। কারন গরম পানি স্কিনকে আরো ড্রাই করে দেয়।
এগুলোর পাশাপাশি যেই প্রডাক্টগুলো আমরা ব্যাবহার করবো তা হতে হবে পিউর এবং অরিজিনাল। বিভিন্ন ব্র্যান্ড এক্সপেরিমেন্ট করতে গেলে প্রায়ই সম্মুখীন হতে হয় নকল প্রডাক্টসের।
তাই উচিত স্কিন কেয়ারের জন্য এইরকম ব্র্যান্ড সিলেক্ট করা যা স্কিন কেয়ারে ব্যাবহার যোগ্য সব উপাদানের ১০০% খাঁটি হওয়ার গ্যারান্টি দিবে।
আর এর জন্য বিনা দ্বিধায় সিলেক্ট করতে পারেন আর্থ বিউটি এন্ড ইউ বা ক্ল্যারিসের মতো ব্র্যান্ডগুলো। কারন এই ব্র্যান্ডগুলো সবসময়ই নিজেদের পিউর প্রডাক্টসের মাধ্যমে সবার আস্থা জয় করে আসছে।
লিখেছেন –
রাবেয়া চৌধুরী পিয়া